বগুড়ার শেরপুরে চার বছরের এক শিশু কন্যা ধর্ষণের শিকার হয়েছে। রোববার দুপুরে উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নে গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে তাদের পরিবার। পরে তাকে বগুড়ায় শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ওই শিশুটির নানি বাদী হয়ে রোববার সন্ধ্যায় শেরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মামলায় অভিযুক্ত মোজাহার আলী মোজা (৫৫) নামের ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে সিংড়াপাড়া গ্রামের মফিজ উদ্দীনের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার শেরপুরে বিশালপুর ইউনিয়নে চার বছরের এক শিশুকন্যাকে নানির কাছে রেখে ঢাকায় চাকরিতে যান তার পিতা-মাতা। রোববার সকালের দিকে শিশুটিকে নিয়ে তার নানি মাঠে মরিচের ক্ষেতে কাজ করার জন্য যান। দুপুরের দিকে শিশুটি একাই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
রাস্তার মধ্যে একই গ্রামের মোজাহার আলী মোজা শিশুটিকে বিস্কুট কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরে শিশু কন্যার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ধর্ষক কৌশলে পালিয়ে যায়।
পরে ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই শিশুটির অবস্থার অবনতি দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তির স্থানান্তর করেন।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এই ঘটনায় শেরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।